• বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩১

  • || ১৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছে সরকার নোবেল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার নেই : শেখ হাসিনা সহজে এলডিসি উত্তরণে সুইডেনের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন, তা আদালতে প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না’ অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে বহুমাত্রিক করেছে: প্রধানমন্ত্রী অনেক হিরার টুকরা ছড়িয়ে আছে, কুড়িয়ে নিতে হবে বারবার ভস্ম থেকে জেগে উঠেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র রক্ষায় আ. লীগ নেতাকর্মীদের সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী আজ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি সই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আগামীকাল দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে রাজকীয় সংবর্ধনা হাসিনা-মোদী বৈঠক আজ সংলাপের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান

শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৪  

সমৃদ্ধশালী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া একসঙ্গে কাজ করবে। শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধশালী, অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং ভয়-ভীতিহীন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চায় দুই দেশই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং-য়ের মধ্যে বৈঠকের পরে এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বেলার ১১টার দিকে মালয়েশিয়ার একটি বিমানে ঢাকায় পৌঁছান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক কেন্দ্রিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, দক্ষিণ এশিয়াতে কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ, সুমদ্র নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচার রোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া— উভয় দেশই ভারত মহাসাগরের অংশ। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুই দেশই এক অঞ্চল ও সুমদ্রের অংশ।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রের অখণ্ডতা এবং এই অঞ্চলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার, সুমদ্র ও আকাশপথে চলাচলে স্বাধীনতা, এবং শান্তিপূর্ণ বিবাদ মিমাংসার বিষয়ে দুই মন্ত্রী তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে গাজায় চলমান চরম অমানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উভয়পক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং দুই-দেশ সমাধান বিষয়ে সমর্থন ব্যক্ত করে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার, যা ১০ বছর আগেও ১০০ কোটি ডলারের কম ছিল। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও গভীর ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উভয় দেশ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরনের পরেও অস্ট্রেলিয়া তাদের শুল্ক-মুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধা অব্যহত রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষি-জাত প্রক্রিয়াজাত শিল্প, আইসিটি ও লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কানেক্টিভিটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অবকাঠামো কানেক্টিভিটি প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা করেন। ওই প্রোগ্রামে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্যরাও অংশীদার হতে আগ্রহী বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

মানবপাচার ও সুমদ্র নিরাপত্তা

আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হাতে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুই দেশ। অবৈধ ও অনিরাপদ মানবপাচার বন্ধের বিষয়ে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্বকে উভয়পক্ষই স্বীকার করে নিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়া প্রস্তাব করেছে, তাদের কোস্ট গার্ডের কমান্ডার এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করবেন।