• বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

  • || ২৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চায় মাদারীপুরে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, খসড়া নীতিগত অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোহরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ যত্ন-স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস দেশের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস হচ্ছে আজ সব বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল চালু করবো: প্রধানমন্ত্রী কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন: শেখ হাসিনা এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে এসএসএফ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা সরকারের বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : শেখ হাসিনা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে আমি মারা যাব: প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছে সরকার নোবেল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার নেই : শেখ হাসিনা সহজে এলডিসি উত্তরণে সুইডেনের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন: শেখ হাসিনা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৪  

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের সমালোচকদের নানা কথার জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে অধিবেশনে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ তুলে ধরতে চাই। কারণ, এতক্ষণ শুনলাম কিছুই করি নাই। একটা গোষ্ঠী আছেই ‘কিছু ভালো লাগে না’। তাদের জানার জন্য বলার দরকার।

দেশে কিছু আঁতেল আছেন তারা সবকিছুতেই সমালোচনা করেন। ঋণ খেলাপি নিয়ে অনেক কথা, মন্দ ঋণ নিয়ে অনেক কথা। ২০০৯ সালে জিডিপির আকার ছিল ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ হাজার কোটি টাকা। মন্দ ঋণ ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে জিডিপির পরিমাণ ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সরকার প্রধান বলেন, ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। মন্দ ঋণের হার হচ্ছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এটা কিন্তু হ্রাস পেয়েছে। সেটাকে বলার সময় উল্টো টাকার অংক বলে কিন্তু শতাংশ বলা হয় না। সেখানে শুভংকের ফাঁকি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এইভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। এইভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা এটা করে তা খুবই দুঃখজনক।

সাধারণ আলোচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি না দেওয়ার পক্ষে সরকারের অবস্থান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ খাতে কেন ভর্তুকি দেব? উৎপাদনের খরচটা দিতে হবে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। জ্বালানি তেল যাতে মজুদ থাকে সেই ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। এ বছর জ্বালানি উন্নয়ন তহবিলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমানে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, ধীরে ধীরে এটি কমাতে হবে। এ খাতে আমরা কেন ভর্তুকি দেব? বেশি বেশি এয়ার কন্ডিশন, ফ্রিজ, টেলিভিশন, লিফট চলার জন্য দেব? তা তো দেব না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যেটা করার দরকার আমরা সেটা করবো। যে যত বেশি ব্যবহার করবে তাকে উৎপাদনের খরচ অবশ্যই দিতে হবে। কিন্তু আমরা হঠাৎ করে এটা করছি না। ধীরে ধীরে সহনশীল করে এটা করা হচ্ছে। মানুষ যাতে বিদ্যুৎ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবস্থা পায় ইন্ডাস্ট্রি চালানোর জন্য সেই ব্যবস্থাও আমরা করছি। এখন তো সব জায়গায় ভর্তুকি। এলএনজিতেও আমরা ভর্তুকি দিই। ভবিষ্যতে এটি দেওয়া হবে না।

গ্রামে লোডশেডিং না দিয়ে গুলশান-বনানী-বারিধারাসহ বিত্তশালীদের এলাকায় লোডশেডিং দিতে নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি বলে দিয়েছি গ্রামে লোডশেডিং যেন না দেয়। গুলশান, বনানী, বারিধারা, এসব বড়লোকদের এলাকায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে হবে; এখন এয়ার কন্ডিশন গাড়ি-বাড়িতে, লিফট ইত্যাদি আরাম-আয়েশটা এটা যে আসমান থেকে পড়েনি। এটা আমাদের করা সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তত লোডশেডিং ওইসব বিত্তশালীদের দিতে হবে। এই ব্যবস্থাটাই করবো আমরা।