• বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

  • || ২৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
৮ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী অর্থবছরের প্রথম একনেক সভায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী বন্যার শঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চায় মাদারীপুরে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, খসড়া নীতিগত অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোহরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ যত্ন-স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস দেশের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস হচ্ছে আজ সব বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল চালু করবো: প্রধানমন্ত্রী কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন: শেখ হাসিনা এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে এসএসএফ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা সরকারের বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : শেখ হাসিনা

নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা আজ থেকে শুরু হচ্ছে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল রোববার। নির্ধারিত এ দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে তিনশ’ আসনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আজই চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।

তফসিল ঘোষণার পর প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকলেও প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটতে পারবেন প্রার্থীরা।

একইসঙ্গে পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল প্রচারণায় শোভা পাবে। প্রার্থীদের পদচারণায় নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের ৪৮ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে এবারের প্রচারণায় আচরণবিধি ভঙ্গের আশঙ্কা করছে খোদ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারণ তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণের ২১দিন পূর্বে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছে, সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারণা শুরু হবে। কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের জন্য মাঠে রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।

এদিকে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি গঠন করার ১৪ দিনেও বরাদ্দ না পাওয়ায় পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেনি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ (ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজদের সমন্বয়ে গত ২৫ নভেম্বর ১২২টি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। প্রতিটি কমিটিকে তিনটি খাতে ৬০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হবে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী তদন্ত কমিটির জন্য কোন অর্থ ছাড় হয়নি। সোমবার এই অর্থ ছাড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আইন অনুযায়ী, এই কমিটি কারও অভিযোগের ভিত্তিতে বা নিজ উদ্যোগে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে পারবে। তবে এই কমিটির কাউকে সরাসরি সাজা দেয়ার ক্ষমতা নেই। তারা অভিযোগ তদন্ত করে তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করবে। কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এর আগের নির্বাচনে ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ সংশ্লিষ্ট এলাকায় গাড়িতে টহলে থাকত। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এই কাজটিও সেভাবে করা যাচ্ছে না।

আচরণবিধিতে যা বলা হয়েছে: নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটের প্রচারণায় কোনো প্রার্থী বা দলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না। সভা করতে ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান ও সময় পুলিশকে জানাতে হবে। সভার জন্য লিখিত অনুমতি নিতে হবে এবং আগে যে আবেদন করবে তাকে আগেই অনুমতি দিতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরণের গেট বা তোরণ নির্মাণ ও প্যান্ডেল স্থাপন করা যাবে না। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে। পোস্টার হবে সাদাকালো। শুধু প্রার্থী এবং দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ব্যবহার করা যাবে। প্রার্থীরা দলীয় এবং সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় নির্বিশেষে প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং পৌরসভা/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে একটির অধিক ক্যাম্প করা যাবে না। সরকারি রেস্ট হাউজ, ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ কোনো দল বা প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, সরকারি যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না, রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনসভা বা প্রচার সভা করা যাবে না। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কেউ নির্বাচনের আগে উক্ত প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা উক্ত এলাকা বা অন্যত্র অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো চাঁদা বা অনুদান দেয়া বা দেয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না। প্রার্থী কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অথবা সদস্য হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানের কোন সভায় অংশ নিতে পারবেন না।

সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও তাদের সমমর্যাদাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি, এমপি এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না।

কোনো প্রার্থী তার এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না এবং এ সংক্রান্ত কোনো সভায় যোগ দিতে পারবেন না। এই আইন লংঘনকারী ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।