• বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩১

  • || ১৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছে সরকার নোবেল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার নেই : শেখ হাসিনা সহজে এলডিসি উত্তরণে সুইডেনের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন, তা আদালতে প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না’ অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে বহুমাত্রিক করেছে: প্রধানমন্ত্রী অনেক হিরার টুকরা ছড়িয়ে আছে, কুড়িয়ে নিতে হবে বারবার ভস্ম থেকে জেগে উঠেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত: প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র রক্ষায় আ. লীগ নেতাকর্মীদের সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী আজ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি সই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আগামীকাল দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে রাজকীয় সংবর্ধনা হাসিনা-মোদী বৈঠক আজ সংলাপের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান

আজ বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২১  

আজ ১৭ জুন, বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস। বাংলাদেশে প্রথম ১৯৯৫ সালে বিশ্ব মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহীকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে নগর থেকে ৪০ কি.মি পশ্চিমে কাকনহাটে জাতীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হয়।

১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে খরা ও মরুকরণের প্রতি সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে নাইরোবিতে বিশ্ব মরুকরণ বিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মলনের পরপরই মরুকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। রিও সম্মেলনের এজেন্ডা ২১ এর প্রস্তাবটি ১৯৯২ সালে জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে গৃহীত হয় এবং ইন্টারগর্ভমেন্টাল নেগোশিয়েটিং কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি মরুকরণ সংক্রান্ত খসড়া কনভেনশন চূড়ান্ত করে। ১৯৯৪ সালের জুন মাসে কনভেনশনের দলিল চূড়ান্ত হয়। এই কনভেনশনে ৫০টি দেশ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর ১৯৯৬ সনের ২৬ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। বলা আবশ্যক যে, বাংলাদেশও এই কনভেনশন অনুমোদন করে। পরবর্তীতে খরা ও মরুকরণ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তুলতে ১৭ জুন পালন করা হয় বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস।

সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে বিশ্ব। প্রাকৃতিক দুর্যোগের নানা পরিবর্তনের মধ্যে জলবায়ুর কুপ্রভাবে বিশ্বে মরুকরণ একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা।

জাতিসংঘের এক গবেষণা বলছে, ২০ বছর পর মানবজাতির যাবতীয় চাহিদা অতিতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। সে সময়ে বর্তমানের প্রায় ৫০% বেশি খাদ্যের প্রয়োজন হবে। জাতিসংঘ আশংকা করছে তখনকার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য উপাদানের ঘাটতি দেখা দিয়ে সেটা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। সেই সংকট গতি নিয়ে চলে যেতে পারে সংঘর্ষের দিকে। আর এই সংকটের একমাত্র কারন হবে মরুকরণ ও খরা।

ইতিমধ্যে বিশ্বের জলভূমির ৭০ শতাংশ মরুকবলিত হয়ে পড়েছে, যার পরিমাণ পৃথিবীর মোট ভূমির চার ভাগের এক ভাগ। নিষ্কাশনে অব্যবস্থা ও লবণাক্ততার কারণে সেচের আওতাধীন আবাদি জমির বিশাল অংশ অবক্ষয়ের সম্মুখীন। মরুকরণ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য এক বিশাল হুমকি। এ জন্য মরুকরণ বিস্তার রোধ করা প্রয়োজন।