• সোমবার ০৮ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

  • || ৩০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন আজ সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান শেখ হাসিনার পড়াশোনা নষ্ট করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই পিজিআরকে ‘চেইন অব কমান্ডে’র প্রতি আস্থাশীল থেকে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন, কী মধু আছে: প্রধানমন্ত্রী একটা সিদ্ধান্ত তাদের খবরদারির মানসিকতা বদলে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে, ক্ষতিটা কী হচ্ছে? ২০৩৫ সালের মধ্যে পরীক্ষামুলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার হবে পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী দরজা বন্ধ রাখতে পারি না, ট্রানজিট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নয়, জিয়া, খালেদা, এরশাদ দেশ বিক্রি করেছেন ৮ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী অর্থবছরের প্রথম একনেক সভায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী

শতাধিক নারীকে খুন করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

মিখাইল পপকভ। ৫৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি পেশায় রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এ পরিচয় ছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় আছে।সেটি হলো তিনি একজন সিরিয়াল কিলার।সাইবেরিয়ার ইরকুত্স্ক এলাকার কাছে ১৯৯২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ৫৫ জন নারী এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছেন।পরবর্তীতে প্রকাশিত হয় তিনি আরও অন্তত ৫৬ জনকে হত্যা করেছেন।

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যা করা রাশিয়ান পুলিশ কর্মকর্তা মিখাইল পপকভকে দ্বিতীয় দফায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।২০১৫ সালে ২২ জনকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় পপকভকে।

 

গভীর রাতে নারীদের গাড়িতে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের হত্যা করতেন পপকভ। পপকভের হাতে নিহত নারীদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।তিনটি ঘটনায় পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। ওই নারীদের মধ্যে অন্তত ১০ জন নারীকে হত্যার আগে তিনি ধর্ষণ করেছেন। ২০১২ সালে একটি ডিএনএ পরীক্ষার পর পুলিশ তার গাড়ি শনাক্ত করতে সক্ষম হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ইর্কুত্স্ক এলাকার কাছে আঙারাস্ক শহরের আশপাশে একটি কুড়াল ও হাতুড়ি দিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ চালাতেন পপকভ। হত্যার পর ভুক্তভোগীদের খণ্ড-বিখণ্ড দেহ জঙ্গলে, রাস্তার পাশে বা স্থানীয় একটি সমাধিস্থলে ফেলে দিতেন তিনি।

কয়েকটি দেহের আশপাশে পপকভের ‘নিভা’ গাড়ির চাকার দাগ পাওয়া যায়।তদন্তকারীরা এলাকার আশে-পাশে  সব নিভা গাড়ির মালিকের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে তিনি ধরা পড়েন।

প্রথমবার ধরা পড়ার পর এক পর্যায়ে ২০টি খুনের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন পপকভ।তার হাতে খুন হওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী ভুক্তভোগী নারীর বয়স ছিল ১৫।পপকভের নিজের বক্তব্য অনুযায়ী, আঙারাস্ক শহরকে দুশ্চরিত্র নারীদের কবল থেকে ‘বিশুদ্ধ’ করার অভিযানে নেমেছিলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে ২২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় ইর্কুত্স্কের একটি আদালত।তবে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্ত শুরু হয়ে যাওয়ায় কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে পুলিশের হেফাজতেই রাখা হয়। সেখানে তার সঙ্গে থাকা আরেক বন্দীকে তিনি জানান যে, ২২ জনের বাইরে আরও অনেক মানুষকেই তিনি খুন করেছেন।

পপকভকে মানসিকভাবে সুস্থ বলে ঘোষণা করা হলেও তার মধ্যে মানুষ হত্যা করার এক ধরনের ‘আবেগপূর্ণ আকর্ষণ’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আইনজীবীরা।

হত্যা করা মানুষের সংখ্যার হিসাবে সোভিয়েত আমলের সিরিয়াল কিলার আন্দ্রেই চিকালিতো বা পরবর্তী সময়ের ‘চেসবোর্ড কিলার’ নামে খ্যাত আলেক্সান্দার পিচুশকিন, যারা যথাক্রমে অন্তত ৫২ জন ও ৪৮ জনকে খুন করেছিলেন। তবে দুজনকেই পেছনে ফেলেছেন মিখাইল পপকভ।