• সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

  • || ২৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস দেশের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস হচ্ছে আজ সব বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল চালু করবো: প্রধানমন্ত্রী কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন: শেখ হাসিনা এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে এসএসএফ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা সরকারের বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : শেখ হাসিনা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে আমি মারা যাব: প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছে সরকার নোবেল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার নেই : শেখ হাসিনা সহজে এলডিসি উত্তরণে সুইডেনের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন, তা আদালতে প্রমাণিত: প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না’ অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি

নিজের ত্বককে জানুন

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৮  

মানুষ মাত্রই সুন্দর থাকতে চায়। আগে একটা সময় ছিল যখন সৌন্দর্য্য বিচার হতো গায়ের রংয়ের মাপকাঠিতে। কিন্ত্ত এখন সময় বদলেছে। আমরা জানি এবং মানি সৌন্দর্য্য মানেই কেবল গায়ের রং ফর্সা হওয়া নয়। বরং সৌন্দর্য্য মানে আত্মবিশ্বাসী, স্বাস্থ্য উজ্জ্বল, সতেজ, পরিচ্ছন্ন চেহারা। গায়ের রং যেমনই হোক না, আপনার ত্বক যদি হয় স্বাস্থ্য উজ্জ্বল, সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন তাহলেই আপনি সুন্দর। সবাই ঈশ্বর প্রদত্ত ভাবে সুন্দর হয় না। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে অর্জন করে নিতে হয় সৌন্দর্য্য। আর সেটা চেষ্টা করলে সবাই অর্জন করে নিতে পারে। ছেলে বলেন বা মেয়ে ত্বকের যত্ন নিলে অবশ্যই দিনে দিনে সুন্দর হয়ে উঠতে পারে সবাই। জেনে বুঝে সঠিক উপায়ে ঘরে বসে ত্বকের যত্ন বা রূপচর্চা যেন করতে পারেন সকলেই সে লক্ষ্যে শুরু করছি একেবারে গোড়া থেকে।

 

ত্বকের কথাঃ    সৌন্দর্য্য প্রসঙ্গে প্রথমেই আসে মুখমন্ডলের ত্বকের কথা। আমরা প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা, আলাদা আমাদের ত্বক। সাধারণ ভাবে আমাদের মুখের ত্বক সাধারণত ৪ ধরণের হয়-

 

১।   সাধারণ ত্বক।   

২।   তৈলাক্ত ত্বক।     

৩।   শুষ্ক ত্বক।    

৪।   মিশ্র ত্বক।

 

সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন বলেন বা রুপচর্চা বলেন প্রথমেই জানতে হবে নিজের ত্বকের সম্পর্কে। সম্যক ধারণা না নিয়ে ত্বকে আপনি যাই করেন না কেন তা হবে অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মত। কোন উপকার’ত পাবেনই না বরং ক্ষতির আশংকা ষোল আনা।

 

নির্ণয় করুণ নিজের ত্বকের ধরণঃ    তাই প্রথমেই জানুন নিজের ত্বককে। আপনার ত্বক কোন ধরনের তা নির্ণয় করার জন্যে রাতে ভালভাবে মুখ ধুয়ে মুছে কোন কিছু না মেখে ঘুমাতে যাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে (৭/৮ ঘন্টা ঘুমের পর) ভালভাবে আয়নায় মুখ দেখুন। খেয়াল করেন মুখটা খুব তেলতেলে লাগছে কিনা। একটা টিস্যু নিয়ে আলতো করে মুখে রেখে চেপে চেপে উঠিয়ে আনুন। যদি টিস্যুটা জুড়ে ছোপছোপ তেল দেখতে পান তবে নিশ্চিত ভাবেই আপনার ত্বক তৈলাক্ত। যদি চেহারায় নাক ও চিবুক বরাবর তেল দেখতে পান এবং টিস্যুতেও এ বরাবর কিছুটা তেলের ছাপ দেখেন, অন্যত্র কিছু নেই তাহলে আপনি মিশ্র ত্বকের অধিকারী। আবার টিস্যুতে যদি কিছুই না লাগে এবং মুখটা দেখতে প্রাণহীন, শুকনো লাগে তাহলে আপনার ত্বক শুষ্ক। আর যদি কপাল, নাক, চিবুকে খুব হালকা তেল লাগে অন্যত্র স্বাভাবিক তবে আপনার ত্বক স্বাভাবিক।

 

স্বাভাবিক ত্বকঃ    স্বাভাবিক ত্বক সাধারণ ভাবেই সুন্দর এবং মসৃণ। কোথাও খুব তৈলাক্ত বা শুষ্ক নয়। স্বাভাবিক আদ্রতা সম্পন্ন। সাধারন অবস্থায় এ ত্বকে ঝামেলা কম। তাই যত্নের প্রয়োজনও কম। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে।

 

তৈলাক্ত ত্বকঃ    মুখ তেলতেলে থাকা তৈলাক্ত ত্বকের প্রধান বৈশিষ্ট। সেবাসিয়াস গ্লান্ড থেকে বের হওয়া অতিরিক্ত তেলের কারণেই ত্বক তৈলাক্ত হয়। তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা অনেক। নাক, কপাল, চিবুক ও গালে বেশী তেল নিঃসরণ হয়। ব্রণ, অ্যাকনে, পিম্পল, ব্লাকহেডস, হোয়াইট হেডস বেশী হয়। মুখ বেশী ঘামে ও চকচক করে। লোমকূপ গুলো বড় দেখা যায়। তবে বয়স বাড়লেও এ ধরনের ত্বক যৌবনদীপ্ত থাকে।

 

শুষ্ক ত্বকঃ    শুষ্ক ত্বক খুবই সংবেদনশীল। দেখতে অনুজ্জ্বল। এ ত্বকে এ্যালার্জী সমস্যা বেশী, এদের মাথার ত্বকও শুষ্ক এবং খুশকী প্রবণ। অল্প বয়সেই এ ত্বকের অধিকারীদের চোখ ও কপালে বলিরেখা পড়ে। তাই এ ধরনের ত্বক হলে খুবই যত্নের সঙ্গে বুঝে শুনে যত্ন নেওয়াটা জরুরী।

 

মিশ্র ত্বকঃ    স্বাভাবিক, শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের সমন্বয়ে এই ত্বক। সাধারনত টি জোনের (নাক ও কপাল) অংশটি তৈলাক্ত এবং অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক বা শুষ্ক। এ ধরনের ত্বকের যত্নেও ধৈর্য্য এবং সাবধানতা আবশ্যক। বিশেষ করে তৈলাক্ত অংশে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন এবং অন্যান্য অংশে স্বাভাবিক ত্বকের যত্ন করতে হয় বলে তা কিছুটা ঝামেলা পূর্ণও বটে।

 

     জানলেন বিভিন্ন ধরনের ত্বক সম্পর্কে ঝটপট নিজের ত্বকের টাইপটিও আইডেন্টিফাই করে নিন। তারপর সে অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। আগামী কয়েকটি দিন ত্বক ও রুপচর্চার নানা খুটিনাটি নিয়ে আমরা থাকছি আপনাদের পাশে। সুস্থ্য থাকুন, সুন্দর থাকুন সবাই – এ প্রত্যাশায়।