• মঙ্গলবার ০৯ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

  • || ০১ মুহররম ১৪৪৬

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন আজ সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান শেখ হাসিনার পড়াশোনা নষ্ট করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই পিজিআরকে ‘চেইন অব কমান্ডে’র প্রতি আস্থাশীল থেকে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন, কী মধু আছে: প্রধানমন্ত্রী একটা সিদ্ধান্ত তাদের খবরদারির মানসিকতা বদলে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে, ক্ষতিটা কী হচ্ছে? ২০৩৫ সালের মধ্যে পরীক্ষামুলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার হবে পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান শুক্রবার দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী দরজা বন্ধ রাখতে পারি না, ট্রানজিট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নয়, জিয়া, খালেদা, এরশাদ দেশ বিক্রি করেছেন ৮ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী অর্থবছরের প্রথম একনেক সভায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাকাব্যে পরিণত হয়েছে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৮  

নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা’য় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিটেমোয়েলা কাটোয়া ইউটোইকামনো বলেছেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে সমগ্র জনগোষ্ঠী আজ ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে উন্নয়নের এক মহাকাব্যে, যা আমাদের শেখাচ্ছে লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় অঙ্গীকার, জাতীয় নেতৃত্বে বলিষ্ঠতা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে উজ্জীবিত করার পথ।”

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, “উন্নয়নের এই অবিশ্বাস্য ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্থিতির বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতি। এ ব্যাপারে সকলকে আন্তরিকতার সাথে সজাগ থাকতে হবে।’

তিনি উল্লেখ করেন, “প্রাইভেট সেক্টর, এনজিও এবং উদ্ভাবনী-উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশ তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য যথাযথভাবে পাওয়া গেলে কল-কারখানার পাশাপাশি কৃষি ও পোশাক শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়বে, যা ত্বরান্বিত করবে উন্নয়ন-প্রত্যাশাকে।”

নিউইয়র্কে ভারতীয় কন্সাল জেনারেল ও রাষ্ট্রদূত সন্দ্বীপ চক্রবর্তি এ সময় বলেন, “বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেনি। এটা সম্ভব হয়েছে উন্নয়ন পরিক্রমায় সমগ্র জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে। জনগণের ক্ষমতায়ন, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের উন্নয়নের এই ধারা গোটাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।”

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা’র বর্ণাঢ্য এ আয়োজন করে যৌথভাবে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও নিউইয়র্ক কন্স্যুলেট জেনারেল।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কন্সাল জেনারেল ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিত্বকারী বিশিষ্টজনেরা এসেছিলেন এ মেলায়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রবাস-প্রজন্মের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে দিপ্ত প্রত্যয়ে’-এমন দৃশ্য অবলোকনের পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শণমূলক একটি নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যাঞ্জলির শিল্পীরা।

এরপর আবারও ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় বিপুল করতালির মধ্যে। 

স্বাগত বক্তব্যে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বাংলাদেশের এগিয়ে চলার নেপথ্যে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। সীমিত সম্পদ নিয়ে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে বলে সাদিয়া উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতির স্লোগানে সকলে উজ্জীবিত হওয়ায়।”

এ সময় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায়ও বাংলাদেশের সৈনিকেরা অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম আজ আন্তর্জাতিক ফোরামেও সগৌরবে উচ্চারিত হচ্ছে। যে দেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে অপবাদ দেয়া হয়েছিল, সেই বাংলাদেশকে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘উন্নয়নের মডেল’ হিসেবে অভিহিত করছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। শিগগিরই গ্র্যাজুয়েশন করবে বাংলাদেশ। 
বাংলাদেশের  অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জীবন-মানের উন্নয়নের বিবরণ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির মানব-উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক ড. সেলিম জাহান।

জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকনোমিক অ্যান্ড সোস্যাল অ্যাফেয়ার্স’র সিনিয়র অফিসার ম্যাথিয়াস ব্রাকনার, জাতিসংঘ ক্যাপিটল ডেভেলপমেন্টট ফান্ডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাফর মেচানো, যুক্তরাষ্ট্র-চীন পার্টনার ইনক’র প্রেসিডেন্ট সেভিয়ো চ্যান, ইউনিসেফের কর্মকর্তা সারা বরডাস এডি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 
নিউইয়র্কে শ্রীচিন্ময় সেন্টারের শিল্পীরা বাংলা গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ‘নৃত্যাঞ্জলি’র ‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’ নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।