• বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

  • || ২৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চায় মাদারীপুরে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, খসড়া নীতিগত অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোহরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ যত্ন-স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস দেশের ইতিহাস ও সাফল্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বাজেট পাস হচ্ছে আজ সব বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল চালু করবো: প্রধানমন্ত্রী কিছু আঁতেল সবকিছুতেই সমালোচনা করেন: শেখ হাসিনা এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে এসএসএফ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা সরকারের বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : শেখ হাসিনা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে আমি মারা যাব: প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছে সরকার নোবেল পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার নেই : শেখ হাসিনা সহজে এলডিসি উত্তরণে সুইডেনের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

মৃত্যুর পরোয়ানা আসবে যখন

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৪  

মৃত্যু এক নিশ্চিত বিষয়। যার স্বীকারোক্তি সবার মুখে ও মনে। কোনো উপায়েই রেহাই নেই তা থেকে। কত মানুষ আগমন করেছিল। একে একে সবাই চলে গেছে পরপারে। নিয়ে যেতে পারেনি দুনিয়ার কিছুই। সামান্য খড়-কুটোও দেওয়া হয়নি তাদের। রিক্ত হাতেই হয়েছিল জন্ম আবার রিক্ত হাতেই মৃত্যু।

মানুষ মানুষকে কত ভালোবাসে। লালন-পালন থেকে শুরু করে নিজের জীবনটাও দিয়ে দিতে চায় প্রিয়জনদের জন্য। প্রেম-ভালোবাসার জন্য। মায়ের জন্য সন্তান। সন্তানের জন্য বাবা। বন্ধুর জন্য বন্ধু। প্রতিবেশীর জন্য প্রতিবেশী। কী দারুণ আনন্দ কাজ করে তখন মনের গহীনে। জীবন দিতে পারলেই বুঝি সুখ।

কখনো কি ভেবেছি, এ প্রেম-ভালোবাসা ক্ষণস্থায়ী। যার অস্থায়িত্ব দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। সামান্য স্বার্থের জন্য অস্বীকার করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। কখনো টাকা-পয়সার মতো তুচ্ছ জিনিসও ফাটল ধরায় সম্পর্কে। শত আপনকেও অপরিচিত বানিয়ে ফেলে মুহূর্তে। তল্লাটে তল্লাটে বেঁধে যায় অন্যায়-অবিচার।

অথচ সব আপনের বড় আপন মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। যিনি সৃষ্টি না করলে আমাদের অস্তিত্বই থাকতো না। দেখা হতো না পৃথিবীর সবুজ-শ্যামল মনোরম দৃশ্য। নদী-নালা, গাছ-পালা ও পাখিদের গুঞ্জন। কিছুই শোনা হতো না। কিন্তু তাকে নিয়ে আমাদের কোনো ফিকির নেই। আমরা মৃত্যুর দিকে প্রতিনিয়ত ধাবিত হচ্ছি। এখনো চেনা হলো না সেই স্রষ্টাকে। সেই মহা মহীয়ান আল্লাহকে।

আল্লাহ ব্যাতিত কারো জানা নেই, কার কখন মৃত্যু এসে যায়। চলে যেতে হয় অন্ধকার কবরে। এরশাদ হচ্ছে—কুল্লু নাফসিন যাইকাতুল মাউত। অর্থাৎ প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। (সুরা আল ইমরান-১৮৫) অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে—আয়নামা তাকুনু ইউদরিক্কুমুল মাউতু ওয়ালাউ কুনতুম ফিবুরূজিম মুশায়্যাদাহ। অর্থাৎ তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, মৃত্যু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদিও থাকো তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের মাঝে। (সুরা নিসা-৭৮)

কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি মৃত্যুর জন্য! কী করেছি আখিরাতের লক্ষ্যে। রবকে সন্তুষ্ট করার জন্য কতবার বর্ষণ করেছি নোনা অশ্রু।রীতিমতোই মসজিদের মাইকে ঘোষণা হচ্ছে অমুক ইন্তেকাল করেছেন। সকাল বা বিকেলে। সামান্যর জন্যও এই পাষাণ হৃদয়টা নরম হয় না। যেখানে আল্লাহ তাআলার ভয়ে পাথরও থরথর করে কাঁপে। অথচ এই লক্ষ্যেই কি তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন!

হঠাৎ যদি চলে আসে মৃত্যুর ডাক। বন্ধ হয়ে যায় নিঃশ্বাস। ছেড়ে যেতে হয় দুনিয়ার মায়াবী রূপ। তখন যদি থাকি গুনাহে রত কিংবা অন্যায় কাজে লিপ্ত। যদি উড়ে যায় ঈমান নামক পখিটা। কী হবে আমার! তখন কি উচ্চারণ করতে পারবো তাওহিদের কালিমা—লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ! এ সবই অজানা। তবে কী করে করছি এত আমোদ-ফূর্তি। বেহায়াপনার পেছনে ছুটে শেষ করে দিচ্ছি জীবন। উপার্জন করছি হারাম সম্পত্তি। যেখানে হালালের মাঝেই রয়েছে সুখ-শান্তি। মনের তৃপ্তি। হতাশা-নিরাশার লেশমাত্রও নেই যে পথে; সে পথে চলার চেষ্টা কখনো করেছি? তাহলে কী করে করি জান্নাত কামনা।

মৃত্যুর ফেরেশতা যখন আসবে পরোয়ানা নিয়ে। জীবিত নাম কেটে মৃত্যুর নাম রাখবে। লোকেরা তখন নাম বদলে ডাকবে ‘লাশ’ বলে। রাশি রাশি সম্পদ সবই পড়ে থাকবে। সন্তানরাও রাখতে চাইবে না এক মুহূর্ত। কয়েক ঘণ্টার মাঝেই গোসল দিয়ে, কাফন পরিয়ে শুইয়ে দেবে অন্ধকার কবরে। যেখানে বাতি নেই। সাথী নেই। পোকামাকড়ের ঘর। একাকিত্বের জীবন। চোখ থাকতেও তখন আমি অন্ধ হয়ে যাবো। মুনকার-নাকির প্রশ্ন করবে। পারলে জান্নাত, না পারলে জাহান্নাম। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি।

তাই প্রতিনিয়তই মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে হবে। এই প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে:
১. প্রতিনিয়ত স্মরণ করুন মৃত্যুকে।
২. সকাল-বিকেল কবরস্থানে গিয়ে ভাবুন মৃত্যুর কথা।
৩. আল্লাহর দেওয়া বিধানাবলি মেনে চলুন।
৪. নিম্নশ্রেণির ব্যক্তিদের দিকে তাকিয়ে নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করুন। বলুন, আল্লাহ আমাকে কত ভালো রেখেছেন। ওর মতোও তো বানাতে পারতেন।
৫. গরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়ান, তাদের উপকার করুন।
৬. প্রতি মুহূর্তই উত্তম মৃত্যুর ফরিয়াদ করুন মহান আল্লাহর কাছে।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। মৃত্যুর পূর্বেই মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।